সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ গুপ্তধন পাওয়ার লোভে রাতভর ভন্ড ফকির ও তার সহযোগির গনধর্ষনের শিকার হয়েছেন দুই সন্তানের জননী। মামলার পর পুলিশ ভন্ড ফকির ও তার সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার দুপুরে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ভ- ফকির হলো- বরিশাল সদর উপজেলার কর্নকাঠি গ্রামের আশ্রাব আলী হাওলাদারের ছেলে হেলাল হাওলাদার (৪৯) ও তার সহযোগি নগরীর বেলতলা এলাকার ইউনুস মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার লাল মীরার ছেলে জাফর মীরা (৪৬)। মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, ভ- ফকির হেলাল হাওলাদার কর্নকাঠি এলাকার আমিরুল ইসলামের বাগান বাড়ীর কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরি করে। নিজেকে ফকির দাবী করে ঝাড়-ফুক দেয়। ভ- ফকিরের সহযোগি জাফর মীরা ওই নারী ও তার স্বামীকে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার প্রলোভন দেয়। এজন্য নারীকে আসনে বসার প্রস্তাব দেয়। এর মাধ্যমে গুপ্তধন পেলে নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গত ১৫ জুলাই বিকেলে ওই নারীকে জাফর মীরা কর্নকাঠি আমিরুল ইসলামের বাগান বাড়ীতে নেয়। গভীর রাতে ওই নারীকে আসনে বসিয়ে নানা তন্ত্র-মন্ত্র ঝাড় ফুকের নাম করে ভ- ফকির হেলাল ও জাফর মীরা পালাক্রমে ধর্ষন করে। ভোরে ওই নারীকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
ওসি জানান, এ ঘটনায় পরদিন বন্দর থানায় ওই নারী বাদী হয়ে পরস্পর যোগসাজসে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারনার অভিযোগে মামলা করে।
ওসি মুকুল বলেন, মামলা হওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুইজনের একজনকে নগরীর কাউনিয়া এবং অপরজনকে সাগরদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার ভ- ফকিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানিয়েছে লোকে তাকে ফকির উপাধী দিয়েছে। সে ঝাড়ফুক দিলে লোকজন ভালো হয়েছে বলে দাবি করে তার কাছে আসতো। কোন তন্ত্র-মন্ত্রই সে জানে না।
নারীকে ধষনের কথাও স্বীকার করেছে বলে ওসি জানিয়েছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে ও নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছেন বলেন ওসি মুকুল।
Leave a Reply